RBI taken Big Decision: ৫০০ টাকার নোট কি তবে বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে? পড়ুন বিস্তারিত ভাবে

RBI taken Big Decision: সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংখ্যার নোটের প্রচলন এবং তার সংস্করণ হিসাবে সেই নোট বাতিল করে নতুন নোট আনা হয়েছে বাজারে, এটি ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসের নতুন কোন কথা নয়। সম্প্রতি আমরা নোট বদল ঘটনার সাক্ষী। পুরনো ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন অংকের নোট বাজারে আনা হয়। তারপরেও ২০০০ নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ২০০০ নোটের পরিবর্তনের সুযোগ গ্রাহকদের দিয়েছিল। কিন্তু এতে বহু মানুষের বহু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।

সম্প্রতি নোট নিয়ে একটি নির্দেশিকা রিজার্ভ ব্যাংক থেকে করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মনে এই জল্পনা হচ্ছে যে পূর্ববর্তী পরিস্থিতির সম্মুখীন আবার মানুষকে পড়তে হবে কিনা! এই নির্দেশিকার পিছনে এমন কি কারণ থাকতে পারে সেই নিয়ে সাধারণ মানুষ দ্বন্দ্বে আছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় সাধারণ মানুষের সুবিধার্থেই এইরকম নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

Read More: Samsung Galaxy S25 Edge

আর বি আই এর ঘোষণা (RBI taken Big Decision)-

সম্প্রতি আর বি আই থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে বিভিন্ন ব্যাংক এবং এটিএম এ ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০, ২০০ টাকার ছোট নোট ৭৫% রাখতে হবে। এতে বহু গ্রাহকের সুবিধা হবে।

সর্বোচ্চ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে যে সাধারণ মানুষের অনেক অভিযোগ ছিল টাকা তুলতে গেলেই বড় সংখ্যক নোট অর্থাৎ ৫০০ টাকার নোট বেরিয়ে আসে এবং অনেক ক্ষেত্রে ১০০ বা ২০০ টাকার নোট নেই বলে এটিএম ডিসপ্লে তে ফুটে ওঠে। অর্থাৎ ন্যূনতম ৫০০ টাকার নোটই ওই মেশিন থেকে তোলা যাবে। এতে করে সাধারণ মানুষকে ছোট অংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। স্বভাবতই এই সমস্যার কিছুটা সমাধানের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত-

বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণ মানুষের রোজকার দিনের লেনদেনের ক্ষেত্রে ছোট অংকের টাকা হাতে না থাকায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এবং বাজার থেকে খুচরো টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়।

ভারতের বেশিরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত যাদের নিত্যদিনের দ্রব্যাদি কেনার জন্য অনেক বেশি টাকা খরচা করার সামর্থ্য নেই, তাই ছোট অংকের লেনদেন-ই বেশি করতে হয়। এক্ষেত্রে ৫০০ টাকার নোট তাদের নিত্যদিনের কেনাকাটা ও জীবনযাত্রার জন্য যথেষ্ট অসুবিধা সৃষ্টি করে। তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে কিছু জন মনে করছেন।

তবে তার পাশাপাশি এই কথা উঠে আসছে যে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন নোটের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মার যাওয়ার অনেক পথ ব্যবসায়ীদের কাছে থাকে কিন্তু যদি অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক হয়ে যায় তাহলে এই সমস্যা অনেকটা সমাধান করা সম্ভব হবে।

বহু আগে থেকেই সরকার থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু এখনো সর্বভারতে সেই পদ্ধতি অনেকটা এগোলেও সম্পূর্ণ কার্যকরী করা যায়নি। এই পথেও সাধারণ মানুষকে নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে নোটের পরিবর্তে লিকুইড টাকা হিসাবে অনলাইন ডিজিটাল মাধ্যম বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রেও ৫০০ টাকার বড় নোট এর পরিবর্তে ছোট নোটের আধিক্য বাড়িয়ে ধীরে ধীরে সেই পথে এগিয়ে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা বা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও মনে করা যায়।

এছাড়াও ৫০০ টাকার নোট নিয়ে প্রচুর জ্বালিয়াতি বা জাল নোটের প্রচলনের বিষয়ও ইতিমধ্যে প্রচুর ঘটছে। তাই ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন কমলে সেই সম্ভাবনা খানিকটা কমবে বলে এক অংশের দাবি।

তবে যাই হোক এই নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই, যেহেতু ৫০০ টাকার লেনদেন এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে, তাই এই নোট বন্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারকে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তার সঙ্গে সেটি সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে।

যেহেতু সেরকম ঘটনা ঘটেনি তাই মনে করা হয় যে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের কেনাকাটার জন্য ছোট নোটের প্রচলন যাতে করে করতে পারে এবং পাশাপাশি ছোট নোটের প্রচলন যাতে বাজারে থাকে তার জন্যই এই পদক্ষেপ আর বি আই থেকে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

x
Advertisements