No Cost EMI মানে সুদ ছাড়া EMI? ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো? আসল হিসেবটা জানুন!

No Cost EMI: বিভিন্ন দ্রব্যের কেনাকাটায় বিশেষ করে অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে একটি খুব জনপ্রিয় অপশন হল No Cost EMI যার সাহায্যে গ্রাহকরা খুব স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারে। একটু দামি জিনিস কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেটে পুরো টাকাটা একসঙ্গে বার করাটা তাদের অন্যান্য খাতে খরচের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।

পকেটের টান না পরেও নিজের ইচ্ছা ইচ্ছা পূরণের একমাত্র চাবিকাঠি হল EMI সিস্টেম (EMI System)। তাই এই পদ্ধতিটির সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি পদক্ষেপ।

No Cost EMI মানে কি আদৌ Zero Interest?

না মোটেও শুধু সত্যি নয় কারণ ইএমআই তেও যে কোন পণ্য কিনলে তার ওপর সুদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। No Cost EMI শব্দটি শুনলেই মনে হয় কোন অতিরিক্ত খরচ নেই তাই জিনিসটির শুধুমাত্র দামটি পরিশোধ করলে গ্রাহকরা তাদের পছন্দমত দ্রব্যটি কিনতে পারবেন কিন্তু সেটি হল একটি গোপন বিষয় যার পিছনে লুকিয়ে আছে অতিরিক্ত টাকা গোনার একটি উপায়।

আরও পড়ুন – WBSSC Exam 2025 ফর্ম ফিলাপের শেষ তারিখ বাড়ানো হল

তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে অতিরিক্ত ফাটাফাটি গুনতে হয় না, কোম্পানি অর্থাৎ যে জিনিসটি তৈরি করছে বা যার কাছ থেকে প্রোডাক্টটি বিক্রি হচ্ছে তার কাছ থেকেই ব্যাংক অতিরিক্ত টাকাটি পরিশোধ করে তবে ক্রেতারাও সম্পন্ন ছাড় পায় না।

এই পণ্যের দামের ওপর সুদ যেমন প্রস্তুতকারী বা বিক্রেতা কারী সংস্থাকে দিতে হয় তার ওপরে জি এস টি গুনতে হয় গ্রাহকদেরই অর্থাৎ গ্রাহকদের দ্রব্যটির আসল দাম তার সাথে ইএমআই এর সুদের ওপর GST দিতে হয় ব্যাংকে।

এর সাথে অতিরিক্ত খরচা যেমন প্রসেসিং চার্জ (Processing Charge), তার ওপরে GST এই খরচ গ্রাহকদের দিতে হয়। অর্থাৎ লাভ কিছুই নয় উল্টে নগদে দ্রব্যটি কেনার থেকে ইএমআই তে কিনলে অনেক বেশি অতিরিক্ত টাকা গ্রাহকদের গুনতে হয়। ব্যাংক কোন কিছুই ফ্রিতে দেয় না।

অযৌক্তিক চার্জ?

কোন গ্রাহক যদি ইএমআই পরিষদের যা সময়সীমা তার আগেই সেটি পরিশোধ করে লোনটি সম্পূর্ণ করতে চায় তার জন্য তাকে লোন ক্লোজিং চার্জ দিতে হয়। তাহলে বুঝছেন বিষয়টি কোন দ্রব্য ইএমআই তে কিনলে তার জন্য কত রকম ভাবে ব্যাংক গ্রাহক এবং সরবরাহকারি সংস্থার কাছ থেকে টাকা আদায় করে!

এই বিষয়টি আমজনতা বুঝতেও পারে না। ইএমআই ফেসিলিটি আছে দেখলে কোন কিছু না ভেবেই ইনস্টলমেন্টে নিজের পছন্দমতো জিনিসটি নিতে পারবে এই হিসাবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজি হয়ে যায় সচ্ছন্দে।

সবশেষে বলা যায় যে ইএমআই মানেই নো কস্ট নয়, এর পেছনে আছে একাধিক লুকানো চার্জ। আর এই চার্জ আমার আপনার মত সাধারণ ক্রেতার পকেট থেকেই কাটা যায়। তাই এরপর কোন দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে ইএমআই এর ফেসিলিটি আছে দেখলে সাবধান হয়ে যান এবং দুবার ভাবুন জিনিসটি ইএমআই তে কিনবেন নাকি নগদ টাকায় কিনে আপনার বাড়ি আনবেন।

Disclaimer-

এই প্রতিবেদনটি EMI সংক্রান্ত বিষয়ে উপর গ্রাহক সুরক্ষার জন্য, এখানে ব্যাংকের কার্যকলাপের পদ্ধতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিপক্ষ ভাবে লেখার কোন উদ্দেশ্য লেখকের নেই। যদি সেটি কোন ভাবে হয়ে যায় তাহলে সম্পূর্ণ কাকতালীয় এবং অনিচ্ছাকৃত।

Leave a Comment

x
Advertisements