Reserve Bank of India (RBI): RBI সম্প্রতি তিনটি ব্যাংকের উপর লেনদেনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এই নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, সবাই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন, কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে গ্রাহক সবাই। সূত্রমারফত জানা গেছে তিনটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের আর্থিক লেনদেনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ৬ মাসের জন্য জারি করা হয়েছে।
তবে ব্যাংক গুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি। কিছু জটিলতার জন্য RBI এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর।
আরও পড়ুন – ভারতীয় নেভিতে কর্মী নিয়োগ
ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৯ এর আওতায় সিদ্ধান্ত:
এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৯ এর ৩৫ এর এ এবং ৫৬ ধারা অনুযায়ী। RBI এর সিদ্ধান্ত ২০২৫ সালের ৪ই জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে এবং সেটি জারি থাকবে এর পরবর্তী ছয় মাসের জন্য অর্থাৎ ২০২৬ সালের ৩ রা জানুয়ারি পর্যন্ত।
কোন কোন ব্যাংকের ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি হলো, জানুন ব্যাংক গুলির নাম-
দেশের তিনটি আঞ্চলিক কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ওপর RBI ছ মাসের আর্থিক লেনদেনের যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তার অন্তর্গত ব্যাংক গুলি হল-
- দিল্লির, ইনোভেটিভ কোঅপারেটিভ আরবান ব্যাংক লিমিটেড।
- দ্বিতীয়টি, গুয়াহাটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড
- তৃতীয়টি মুম্বাইয়ের ভবানী সহকারি ব্যাংক লিমিটেড।

নিষেধাজ্ঞার মাত্রা- RBI এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে দিল্লি এবং গুয়াহাটির ব্যাংক দুটিতে গ্রাহকরা তাদের একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। কিন্তু মুম্বাইয়ের ভবানী সহকারী ব্যাংকে গ্রাহকদের কোন টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতে ব্যাংকের গ্রাহকরা পড়েছেন চরম সমস্যায় এবং একটি উদ্বেগ তথা অনিশ্চয়তা ও তৈরি হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে, তার সঙ্গে ব্যাংকের কর্মীরাও যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।
লেনদেনের ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতার সাথে ব্যাংকগুলির প্রতি এই নির্দেশিয় জারি আছে যে, কেবলমাত্র কর্মীদের বেতন, অফিসের ভাড়া, বিদ্যুৎ এবং আনুষঙ্গিক খাতে খরচ, যেগুলি জরুরী হিসাবে দেখা হয় সেগুলি একমাত্র ব্যাংক থেকে পরিশোধ করা যেতে পারে, তবে নতুন করে ব্যাংকের সমস্ত কার্য সম্পাদন, টাকা লেনদেন ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকের সাধারণ দিনের কর্মব্যস্ততা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
RBI জানিয়েছে যে ব্যাংকগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। এই বার্তার মাধ্যমে গ্রাহকদের একটি সতর্ক সংকেত উচ্চ পদস্থ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের জমা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট ইন্সুরেন্স সুরক্ষিত রয়েছে যা কিছুটা হলেও গ্রাহকদের কাছে স্বস্তির খবর।
ভারতীয় ব্যাংকগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সতর্ক ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেই ব্যাংকগুলির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ আর বি আই পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে গ্রাহকদের সমস্যার মুখোমুখি হলেও সেটি হচ্ছে একটি দীর্ঘ মেয়াদী এবং সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম যার মধ্যে ব্যাংকিং পরিষেবার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সম্ভব করা যাবে। সেই জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রাহকদের প্রতি একটি অতি সাধারণ পরামর্শ হলো –
আপনি যদি এই ব্যাংক গুলির মধ্যে যেকোনো একটি গ্রাহক হন তাহলে বিস্তারিত জানতে উক্ত শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করুন এবং সমস্ত বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানুন এবং যদি ব্যাংকিং পরিষেবা আপনার ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয় তাহলে অতি অবশ্যই উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা একমাত্র পথ বলে মনে করা হচ্ছে।
Disclaimer-
উপরিউক্ত তথ্য গুলি সূত্র মারফত পাওয়া, এখানে লেখকের কোন ব্যক্তিগত মন্তব্য দেওয়া হয়নি। বিস্তারিত জানতে RBI এর ওয়েবসাইট অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং শাখায় গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। যদি বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে লেখকের লেখার মধ্যে কোন অসামঞ্জস্য থাকে তাহলে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত।